মৃত ব্যক্তিকে কেন বড়ই পাতা দিয়ে গোসল করানো হয়। রুকিয়ার গোসল। যাদু টোনা থেকে বাচার আমল।
এই মৃত্যুর পরেও রীতির অভাব নেই কবরে দাফন সম্পন্ন করার আগেই শেষ স্মৃতি অবশ্যই পালন করতে হয় তবে এর মাঝেও পালন করার মত অনেক কিছু রয়েছে মৃতের গোসলের পানিতে বরই পাতা বাকুল পাতা দেয়া শরীয়ত সম্মত অনেকে অবশ্য এটাকে ওয়াজিব বলে থাকেন তবে এটা ওয়াজিব নয় আলেম-ওলামাগণ হাদিসের নির্দেশকে মুস্তাহাব বলেছেন কারণ কুল পাতা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য খুবই কার্যকরী একটি ঔষধি পাতা।বরই পাতা না পাওয়া গেলে সাবান বা এ জাতীয় কিছু ব্যবহার করাই যথেষ্ট।
ইসমাইল ইবনে আব্দুল্লাহ রাহিমাহুল্লাহ উম্মে আতিয়া আনসারী রাদিআল্লাহু তা'য়ালা থেকে বর্ণিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কন্যা জয়নব ইন্তেকাল হলে তিনি আমাদের কাছে এসে বললেন তোমরা তাকে ৩,৫, প্রয়োজন মনে করে তার চাইতে অধিক বার বরই পাতা সহ পানি দিয়ে গোসল দাও সুভান আল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তার কন্যার গোসলের কাজ সম্পাদনকারী নারীদেরকে বরই পাতার জলে গোসল দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন এবং রাসূল বলেন যে শেষ গোসলের পর কাপড় বা কিছু পরিমাণ কার্বন তোমরা ব্যবহার করবে তোমরা শেষ করে আমাকে জানাও আমরা শেষ করার পর তাকে জানালাম।
তখন তিনি তার চাদরখানা আমাদের দিয়ে বললেন এটি তার গায়ের সাথে জড়িয়ে দাও সুবহানাল্লাহ বর্তমান বিজ্ঞান গবেষণা করে দেখেছে বড়ই পাতায় রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক গুনাগুন বড়ই পাতা কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখলে শরীর থেকে আঠালো এক ধরনের প্রাকৃতিক নির্যাস পানির সাথে মিশে যায় যা মানব শরীরে গোসলের ফলে জীবাণুমুক্ত করার একটি অ্যান্টিসেপটিক মেডিসিন হিসেবে কাজ করে। অথচ চৌদ্দশ বছর আগে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃতের গোসলের ক্ষেত্রে বড়ই পাতা ব্যবহারের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে টি জীবিত অবস্থায় তো আমরা চাইলে বড়ই পাতা দিয়ে গোসল করতে পারি কারণ জীবিত অবস্থায় অ্যান্টিসেপটিক এর গুনাগুন গুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী হবে সে ক্ষেত্রে ইসলামের কোনো বাধা নেই আপনি চাইলে গোসল করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো যে বোলতা ভীমরুল বাজি কোন ধরনের কীট বা মধুপেকার হুলে যদি কোন বিষ ছড়িয়ে পড়ে এবং জ্বালা-যন্ত্রণা তৈরি হয় তখন সাথে সাথে কুলের পাতা বেটে যদি আপনি পলেপ দেন তাহলে জ্বালা-যন্ত্রণা উপশম হয়ে যায়
রুকিয়ার গোসল
এছাড়াও যাদুর চিকিৎসা বিখ্যাত রুকিয়ার গোসল হচ্ছে বড়ই পাতা বেটে কিছু দোয়া পড়ে খানিকটা খাওয়া এবং গোসল করা আলেম-ওলামাগণ এই রুকিয়ার গোসল কে বলে থাকেন জাদু চিকিৎসায় শ্রেষ্ঠ গোল এই চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষ জাদুটোনার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে তবে এই গোসলের সময় পড়ার দোয়া গুলো কেউ অল্প কয়েকটা বলেছেন কেউ বেশি বলেছেন ইমাম কুরতুবী রাহিমাহুল্লাহ সূরা বাকারা ১০২ নম্বর আয়াতের আলোচনা করতে গিয়ে রুকিয়ার গোসলটা কথা বলেছেন তবে তিনি শুধু আয়াতুল কুরসি পড়তে বলেছেন ইবনে কাসীর রাহিমাহুল্লাহ সেটা উদ্ধৃত করে আয়াতুল কুরসির সাথে সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পড়ার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন কেননা সূরা ফালাক এবং সূরা নাস রব্বুল আলামীন তাঁর বান্দার জন্য নাজিল করেছেন জিনের আছর এর হাত থেকে এবং জাদুটোনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
এই দু'জনের কথার সারাংশ হচ্ছে শায়খ ওয়াহিদ বিন আব্দুস সালামের বলার নিয়ম টা আজ আমরা সেটা জানবো যদি কখনো আপনার এমন মনে হয় যে আপনার উপরে জাদুটোনার আসর হয়েছে অথবা কেউ আপনার উপরে খারাপ প্রভাব সৃষ্টি করছে তাহলে কোন কবিরাজের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই আপনি কুরআনী চিকিৎসা নিন বরই এর সাতটি সবুজ পাতা পিষে পানিতে ঢেলে নাড়তে থাকুন এবং নিম্নে সূরা গুলো সাথে পড়ে ফু দিতে থাকুন।
যাদু-টোনা জিনের আছর হতে বাচার আমল
প্রথমে আয়াতুল কুরসি পড়বেন দ্বিতীয় নম্বর সূরা ফালাক পড়বেন তৃতীয় নম্বরে সূরা নাস পরবেন এরপর এই আয়াতগুলো পড়ে সেই বড়ই পাতার মেশানো পানিতে ফু দিয়ে সেই পানি তিন ডোকে পান করবেন এবং বাকি অবশিষ্ট পানি দিয়ে গোসল করবেন সে পানিতে অন্য পানি মেশাবেন না এবং ঐ পানি গরম করবেন না আর এভাবে কয়েকদিন গোসল করবেন তাহলে ইনশাল্লাহ সুস্থ হয়ে উঠবে কেননা কোরআন হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে বুঝার এবং আমল করার তৌফিক দান করুক আমিন।