সুবহানাল্লাহ,সুরাতুল বাকারা এবং সূরা আল-ইমরান ফযিলত, জান্নাতে যাওয়ার আমল,সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত,সূরা ইখলাস ফযিলত,সুরা মুলক ফজিলত
সূরা বাকারা এবং সূরা আল-ইমরান ফজিলত
আমরা জানি যে সুরাতুল বাকারা এবং সূরা আল-ইমরান আমাদের জন্য পরকালে সুপারিশ করবে। সূরা বাকারা যে ঘরে নিয়মিত তেলাওয়াত করা হয় সেখান থেকে শয়তান চলে যায়। রাসুল (সাঃ) বলেছেন কেয়ামতের মাঠে সূরা বাকারা এবং সূরা আল-ইমরান মেঘের মতো পাঠকারীকে ছায়া দান করবে।
সুরা মুলক ফজিলত
যে ব্যক্তি সুরা মুলক প্রতিরাতে পাঠ করে আর ইসলামের রাত শুরু হয় সূর্য ডোবার পর থেকে আপনাদের বারোটা থার্টিফার্স্টের মত নয় এটা পশ্চিমা সভ্যতা থেকে আসছে যেটা এখন আমাদের কেবলা তো ওই সূরাতুল মুলক যে ব্যক্তি সূর্য ডোবার পর থেকে নিয়ে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত বা রাতের বেলা পাঠ করবে রাসুল সাল্লালাহ সালাম বলেছেন কেয়ামতের দিনে তো সুপারিশ করবে এছাড়াও এই সূরা তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবে ইনশাআল্লাহ। এটা বিশাল ব্যাপার বিশাল এমেইজিং ব্যাপার।
সূরা ইখলাস ফযিলত
তিনি আরো বলেছেন সূরা ইখলাস সম্পর্কে কেও যদি সূরয় ইখলস তিন বার তেলোয়াত করে। আর সূরা ইখলাস কুরআনের এক তৃতীয়াংশ তিনভাগের একভাগ যে এই সূরা ইখলাস তিন বার পাঠ করবে সে এক খতম কোরআন তেলোয়াত এর সোয়াব পেয়ে জাবে সুবাহানআল্লাহ। একজন সাহাবী ছিলেন যিনি প্রত্যেক সালাতেই প্রত্যেক রাকাতে সূরা ইখলাস পাঠ করতে, যাই তেলাওয়াত করতেন তার শেষ গিয়ে সূরা ইখলাস পাঠ করতেন। এবার মুসল্লির নবীজি কাছে অভিযোগ জানালেন তার ব্যাপারে সব শুনে রাসুল সাঃ সেই সাহাবী কে ডেকে পাঠালেন। সেই সাহাবী আাসলে তার কাছে জিজ্ঞাসা করলেন যে তুমি এই কাজটা কেন করো, তিনি বলেন ইয়া রাসূল আল্লাহ আমি এই সূরাটা কে ভালোবাসি তখন রাসুল সাঃ বললেন তুমি যদি সত্য এই সূরা টাকে ভালোবাসে থাকো তবে এই সূরা তোমাকে জন্নাতে নিয়ে যাবে সুবাহানআল্লাহ।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুর ঘটনা
আপনারা আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুর ঘটনা দিয়েছিলেনঅনেকে জানেন, তাকে রাসুল সাঃ গণিমতে মাল পাহারা দিতে বলেছিলেন।তো চোর আসছিল তার কাছে পরপর তিনরাত্রি দুই রাত ছেরে দিয়েছিলেন আর শেষরাতে ছাড়েননি ধরেছিলেন। সেই চোরটা তাকে বলেছিল যে আমাকে যদি তুমি ছেড়ে দাও আজকের মত তাহলে আমি তোমাকে এমন একটা আমল শিখিয়ে দিব যেটা তোমাকে সারারাত শয়তান এবং জিন এবং যাবতীয় অকল্যাণ থেকে হেফাজত করবে, কোন কি আমল তিনি বললেন যে যদি তুমি ঘুমানোর আগে আয়তাল কুরসি তেলাওয়াত করো তাহলে সারারাত যাবতীয় কল্যাণ থেকে তুমি হেফাজতে থাকবে তার কাছ থেকে এই আমল টা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিলেন পরের দিন সকালে রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম বললেন যে তোমার গত রাতের চোরের কি খবর। রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম ওহী মধ্যমে এঘটনার ব্যাপারে আগেই জানতে পারেন তখন আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুর কি কি হয়েছে সব ঘটনা খুলে বলেন।সে আমাকে একটা আমল বলেছে যার কারণে আমি তো ছেড়ে দিয়েছি। রাসুল সাঃ বলেন এই কথাটা সে সত্য বলেছে। কিন্তু পরপর তিনরাত তুমি যে চোর ধরেছিলে সে ছিল ইবলিশ।
তাহলে এ ঘটানা থেকে শিক্ষা নেওয়া যাই যে ইবলিশ এর থেকেও ভালো কিছু আমল নেওয়া জাই। তবে এই জামানার মানুষ তা পারবে না।কারণ তারা আমল নয় দুনিয়া নিয়ে বেশি ব্যাস্ত থাকে।
সূরা বাকারা নিয়ে আলোচনা
যাই হোক একবার রাসুল সাঃ এক সাহাবী কে বলেছিলেন সূরা বাকারা এটা হচ্ছে মানুষের জীবনে বরকতের কারণ। মানুষের জীবনে যে বরকত হয় এটার কারণ হচ্ছে সূরা বাকারা। আর যখন এটা মানুষ তেলাওয়াত করা ছেড়ে দিবে তখন তার জীবনের খাসারা নেমে আসবে বারাকা উঠে যাবে। একটু খেয়াল করে দেখবেন আমাদের জীবনের মধ্যে বারাকা আস্তে আস্তে উঠে যাচ্ছে কিনা, অন্যতম একটা কারণ হচ্ছে এই যে আমাদের সাথে সূরা বাকারা সম্পর্ক নাই।
সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত
তিনি বলেছেন সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত অথবা কোনো বর্ণনা শেষ তিন আয়াত যে ব্যক্তি রাতের বেলা পাঠ করবে। মানে সূর্য ডোবার পর থেকে সারারাত নফল সালাতের নেকি পেয়ে যাবেনসুবহানাল্লাহ। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু একবার বলছিলেন কোন জ্ঞানী ব্যক্তি তার পক্ষে সম্ভব না রাতের বেলা ঘুমানোর পূবে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবে না কারণ মাত্র দুইটা পাঠ করলে আপনি সারারাত নফল ইবাদতের নেকি পাচ্ছেন শুধু তাই নয় যাবতীয় দৃশ্য-অদৃশ্য অকল্যাণ থেকে ওইটা আপনাকে
হেফাযত করবেন।
জান্নাতে যাওয়ার আমল
তিনি বলেছেন রাসুল সাঃ যে ব্যক্তি ফরয সালাতের পরে আমরা তো ফরজ নামাজের পর ইমাম সাহেবের অপেক্ষায় বসে থাকি, তিনি বলেছেন যে ব্যক্তি ফরজ সালাতের পর বিসমিল্লাহ্ পরে আয়তাল কুরসি তেলাওয়াত সূরা বাকারা ২৫৫ নাম্বার আয়াত তিনি বলেছেন মৃত্যু ছাড়া তার জান্নাতে প্রবেশ করার কোনো বাধা নাই সেই ব্যক্তি মারা গেলে জান্নাতে চলে যাবেন।এই যে ফজিলতপূর্ণ আমলসমূহ সবগুলোই কোরআনের সাথে সম্পর্কিত।