খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা,সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা,শুকনো খেজুর খাওয়ার উপকারিতা,মরিয়ম খেজুর খাওয়ার নিয়ম,খেজুর খেলে কি হয়.
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি ইফতার করছেন খেজুর দিয়ে সে জন্য ইফতারের সময় খেজুর খাওয়ার গুরুত্বের সাথে সুপারিশ করা হয়েছে এখন খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে কিছু কথা চলুন জেনে নেই। খেজুর খুবই স্বাস্থ্যকর একটা খাবার খেজুরের মধ্যে অনেক পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে ৪৪ থেকে ৮৮% এতে ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম দশমিক০.০২ থেকে দশমিক০.০৫% খেজুরের মধ্যে প্রায় ১৫ প্রকার মিনারেল আর সল্ট আছে ছয় প্রকার ভিটামিন থাকে। প্রোটিন থাকে ২.৩ থেকে ৫.৬% এর মধ্যে উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকে ৬.৪ থেকে ১১.৫% একেক ধরনের খেজুর একেক রকম হয়ে থাকে।
আর আপনি দেখবেন যেহেতু এতে উচ্চমাত্রায় কার্বোহাইড্রেট থাকে এটা এনার্জি খুব ভালো একটা উৎস। আপনি খেজুর খেলে সাথে সাথেই তাতে এনার্জি পেয়ে যাবেন। এটা গ্লুকোজ পাউডারের মত এনার্জি খাবারের চেয়ে অনেক ভালো। খেজুর খেলে সাথে সাথে আপনি এনার্জি পেয়ে যাবেন। একজন মানুষ শুধু খেজুর আর পানি খেয়ে মাসের-পর-মাস বেঁচে থাকতে পারে। আর আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম যখন ঘরে অন্য কোন খাবার থাকতো না তখন খেতেন শুধু খেজুর আর পানি আবার মাঝেমধ্যে খেজুর আর উটের দুধ। তাহলে খেজুর একটা স্বাস্থ্যকর খাবার এর ফেট আপনার ওজন বাড়াবে না আর বাড়লেও সামান্য তাই লোকে ভয় পায় যে খাবার খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে খেজুরে সে ভয় নেই।
এরপর যদি সে খেজুরে মিনারেলের কথা বলি এতে প্রায় ১৫ রকমের মিনারেল থাকে এছাড়াও খেজুরের থাকে ক্লোরাইড যেটা দাঁতের ক্ষয় রোধ করে থাকে। খেজুর গাছে সেলেনিয়াম যেটা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে খেজের ৬ প্রকারের ভিটামিন থাকে যদিও ভিটামিনের পরিমাণ অনেক কম এতে থাকে ভিটামিন সি ভিটামিন বিওয়ান ভিতামিন b2 নিআাসিন এরপর থেকে ভিটামিন এ খেজুরের প্রোটিনে ২৩ প্রকার অ্যামিনো এসিড থাকে খেজুরের মধ্যে যত অ্যামিনো এসিড থাকে আপনি সেটা অন্য ফলমূলের পাবেন ভেতরে পাবেন না। মানুষ সাধারণতো যে ফল মূল গুলো খেয়ে থাকে আপেল কমলা বা কলায় পাবেন না তবে খেজুরের পাবেন।
এছাড়াও খেজুরে আছে বেশ উচ্চমার্তার ফাইবার যেটা হজম সাহায্য করে তাই হজম হয়ে যায় খেজুর খেলে সহজেই হজম হবে গোষ্ঠ কাঠিন্য সেরে যায়। শশরীল তখন ঝরঝরে থাকে এরকম অনেক উপকারিতা খেজুর আছে খেজুর একটা স্বাস্থ্যকর খাবার। আর বর্তমানে আলহামদুল্লাহ গত 40 বছরে খেজুরের উৎপাদন বেড়ে গেছে প্রায় তিনগুণ আর পৃথিবীর জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ তাহলে মানুষের তুলনায় খেজুরের উৎপাদ অনেক বেড়েছে কারণ এটা একটা স্বাস্থ্যকর খাবার এনার্জি পাবেন সাথে সাথে।
খেজুর খাওয়ার নিয়ম
আজ আমরা কথা বলবো খেজুর কে কখন কিভাবে এবং কতটুকু পরিমান সেবন করতে হবে এটা উপকারিতা এবং অপকারিতা কি এবং এটা কি কোন কোন জিনিসের সাথে খেলে সব থেকে বেশি উপকার হয়ে থাকবে যদি আপনি ওজন কমানো অথবা বাড়ানোর ডায়েট ফলো করে থাকেন তাহলে আপনি কি খেজুর কিভাবে সেবন করতে হবে ওজন কমানো এবং ওজন বাড়ানোর জন্য খেজুর কে কিভাবে আপনি আপনার ডায়াটলিস্টে এড করবেন। খেজুর অনেক প্রকারের হয়ে থাকে এবং প্রতিটি প্রকারের খেজুরের আলাদা আলাদা গুনাগুন রয়েছে কিন্তু এক প্রকার খেজুর রয়েছে যেগুলোকে কখন সেবন করা উচিত নয় এবং এসব বিষয়ে আমরা আমাদের পোষ্টবিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো।
খেজুর খেলে কি হয়
খেজুর অনেক প্রকারের হয়ে থাকে এবং প্রতিটি প্রকারের খেজুরের আলাদা আলাদা গুনাগুন রয়েছে কিন্তু এক প্রকার খেজুর রয়েছে যেগুলোকে কখন সেবন করা উচিত নয় এবং এসব বিষয়ে আমরা আমাদের পোষ্টে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। খেজুর একটি শুকনো ফল মানে হচ্ছে ড্রাইফুড এ ক্যাটাগরিতে পড়ে থাকে যেটার মধ্যে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট এর মাত্রা সবথেকে বেশি পরিমাণে রয়েছে। খেজুর আমাদের শরীরে ইনস্ট্যান্ট এনার্জি দেওয়ার কাজ করে থাকে সেই সাথে খেজুরে অনেক ধরনের ভিটামিন এবং মিনেরালস পাওয়া যায়। খেজুর আমাদের হারকে মজবুত করতে সাহায্য করে থাকে এবং ব্রেন ফাংশন কে ইম্প্রুভ করতে সাহায্য করে থাকে এতে থাকা ফ্লেভোনয়েড পেনালিক এসিড এবং অন্যান্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে ব্রেন ফাংশন ইম্প্রুভ করতে এবং কান্সার মতন রোগ থেকে বেচে থাকতে আমাদের অনেক সাহায্য করে থাকে।
খেজুর খাওয়ার সঠিক সময়
এবার আসুন জানি খেজুর কখন সেবন করতে হবে সারাদিনে তো আপনি যেকোন সময় খেজুর সেবন করতে পারেন কিন্তু দিনের মধ্যে তিনটি সময় রয়েছে যে সময় খেজুর সেবন করলে এটার উপকারিতা কয়েক গুণ বেশি হয়ে থাকে।
প্রথমত হলো আপনি সকালে উঠে খালি পেটে খেজুর সেবন করতে পারেনি দ্বিতীয়তঃ সকালের খাবার এবং দুপুরের খাবার মাঝখানে আর মানে হলো ১১ টা থেকে ১২টার মাঝামাঝি সময়ে তৃতীয়তঃ বিকালে মানে হচ্ছে চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে খেজুর সেবন করতে পারেন। শুধু তাই নয় আপনি যদি ব্যয়াম বা জিম করে থাকেন তাহলে আপনি ডায়েট সরুপ এটাকে এগোহোয়াইট এর সাথে সেবন করতে পারেন।
কারণ এভাবে সেবন করলে শরীর কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন দুটই পেয়ে থাকে। এছাড়াও খেজুর কে আপনি চিনি জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন এটা চিনির মতো মিষ্টি হয়ে থাকে সে সাথে এটা শরীরের অনেক ধরনের নিউট্রেশন এর ঘাটতি পূরণ করে থাকে যেটা কিনা চিনি করতে পারেনা। খেজুরের চিনি আপনি যেকোন মসলা দোকানে অথবা অনলাইন শপে পেয়ে যাবেন।
খেজুরের চিনি আপনি বাসায় তৈরি করে নিবেন এটা সবথেকে সেব এবং ভাল হবে এটার জন্য আপনাকে যেটা করতে হবে খেজুর টুকরো টুকরো করে কেটে সেটাকে ভালোমতো শুকাতে হবে এরপর এটাকে মিক্সার গ্রাইন্ডার মধ্যে দিযে ভালোমতো গুরো করতে হবে। এরপর আপনি চাইলে এটাকে চা অথবা যে কোন জিনিসের মধ্যে দিয়ে সেবন করতে পারেন। আপনি বিশ্বাস করুন এই জিনিসটি আপনি যেখানে ব্যবহার করবেন না কেন সে জিনিসের স্বাদ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিবে সেইসাথে এটাতে কি আপনি কয়েক গুণ বেশি নিউটেশন পেয়ে থাকবেন।
এবার আসুন কথা বলি আপনি একদিনে কতগুলো খেজুর সেবন করতে পারবেন বন্ধুরা একদিনে আপনি কতগুলো খেজুর খাবেন সেটা নির্ভর করে আপনার ফিটনেস এবং গলার উপরে কারণ খেজুর একটি শুকনো ফল হবার কারণে এর মধ্যে নিউট্রিশন এবং সুগারের পরিমাণ অনেক বেশি রয়েছে সেজন্য এটাকে অল্পমাত্রায় সেবন করা উচিত আপনি যদি একজন সাধারণ মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি সকালে দুই থেকে তিনটা খেজুর সেবন করতে পারেন আর যদি আপনি মেহনতের কাজ করেন ভার্জিন বা খেলাধুলা তাহলে আপনি কাজ করার পরে অথবা খেলাধুলা শেষের চার থেকে পাঁচটি খেজুর সেবন করতে পারেন।
খেজুর খেলে কি ওজন বাড়ে
আসুন কথা বলি যদি আপনি ওজন কমানো অথবা ওজন বাড়ানোর ডায়েট ফলো করে থাকেন তাহলে খেজুর কিভাবে কিভাবে সেবন করবেন খেজুরে হাইড্রোজেন থাকার কারণেই এটা ওজন কমানোর জন্য তেমন কোনো রোল পেলে করেনা যদি আপনি ওজন কমানোর ডায়েট করে থাকেন তাহলে হেলদি ফুড হিসেবে আপনি খেজুর খেয়ে সেবন করতে পারেন কিন্তু বেশি মাত্রায় আপনাকে এটা ব্যবহার করা উচিত হবে না এতে করে আপনার ওজন কমানো যায় বেড়ে যেতে পারে।
কিন্তু আপনি যদি আপনার ওজন কে বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনি আপনার ব্যায়াম অথবা জিমের পরে যেকোনো প্রোটিন ডায়েট এর সাথে খেজুর কে সেবন করতে পারেন।
এবার আসুন জানি কোন খেজুর খাওয়া উচিত নয় যে গুলোর মধ্যে বেশিরভাগ খেজুর খাওয়া উপকারী কিন্তু এক ধরনের খেজুর এমন হয় যে ভেতর থেকে অনেক শক্ত কিন্তু বাইরে থেকে একদম নরম এবং চুপচুপে থাকে আসলে এটা কোন খেজুর নয় এটা হল গোলাপ চমন কারণ হচ্ছে খেজুর কে চিনির সিরার মধ্যে ঢুকিয়ে তারপর এটাকে প্যাকেট করে বাজারে ছাড়া হয়েছে। যার কারণে এটা বাইরে থেকে এত রসালো দেখতে লাগে আপনি এটা যে কোন জায়গায় সস্তা দামে পেয়ে যাবেন। কিন্তু এই ধরনের খেজুর টানা সেবন করেন তাহলে এটা উপকারী জায়গায় আপনার ক্ষতি করে বসতে পারে।
সে জন্য সবসময় খেয়াল রাখবেন আপনি যখন খেজুর কিনবেন তখন যেন সেটা যেনো বাইরে থেকেই রসালো এবং চুপচুপে না হয়। সৃষ্টিকর্তা যেসব ফল তৈরি করেছে কোন ফলের কিন্তু বাইরে কোন রস থাকে না সবই থাকে ভেতরে আর যদি কোন ফলে আপনি দেখেন বাহিরে রসালো তাহলে বুঝবেন এটা প্রকৃতি থেকে আসেনি এটা মানুষের দ্বারা তৈরি।আজকের মত এট টুকই সবাই ভালো থাকবেন।