ইউরিসেট ওরাল সলিউশন,Uriset syrup এর কাজ কি,Uriset syrup এর দাম, Uriset syrup এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ইউরিসেট সিরাপ
ইউরিসেট ওরাল সলিউশন এর দাম ১২০ টাকা
ইউরিসেট সিরাপ এটি একটি ইস্কার কোম্পানি ঔষুধ আজ আমি আপনাদের সামনে আরেকটি নতুন ঔষুধ সম্পকে বলবো সেটি হচ্ছে ইউরিসেট ওরাল সলিউশন। ইউরিসেট ওরাল সলিউশন মূত্রনালীর জালাপোড়া দূর করতে ইউরিসেট ওরাল সলিউশন ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আজ আমরা জানবো ইউরিসেট ওরাল সলিউশন খাওয়ার নিয়ম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পকে।
ইউরিসেট ওরাল সলিউশন কি উপাদন রয়েছে
এখন আমরা জানবো ইউরিসেট ওরাল সলিউশন কি উপাদন রয়েছে ইউরিসেট ওরাল সলিউশন এর প্রতি ৫মিলি ওরাল সলিউশন আছে পটাশিয়াম সাইেটেট বিপি ১৫০০ মিলিগ্রাম এবং সাইট্রিক এসিড মনোহাইড্রেট বিপি ২৫০ মিলিগ্রাম।
ফর্মকোলজি ইউরিসেট হলো পটাশিয়াম সাইট্রেট এবং সাইট্রিক এসিড মনোহাইড্রেট এর একটি যৌথ প্রস্তুতি পটাসিয়াম সাইট্রিড শশিত হয়ে বিপাকে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পটাসিয়াম বাইকার্বনেট এ রূপান্তরিত হয় সিষ্টমিক ক্ষারক হিসেবে কাজ করে এবং জরন প্রক্রিয়া টি পরিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয় ফলে যার ফলে ৫% কম পটাশিয়াম নাইট্রেট মূত্রের মাধ্যমে অপরিবর্তিতভাবে বেরিয়ে যায়।
Uriset syrup এর কাজ কি
এখন আমরা জানবো Uriset syrup এর কাজ ও নির্দেশনা কি কি নির্দেশনা ইউরিসেট ওরাল সলিউশন আমরা ব্যবহার করব এসিডিক মূত্রের কারণে সৃষ্ট মূত্রনালীর জালাপোড়া দুর করতে এবং ইউরিক এসিড জনিত কিডনির পাথর প্রতিরোধে বাতের ব্যথায় ইউরিক উসোরিক সাথে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী।কিডনি রোগজনিত এসিডোসিস ঠিক করতে এই ইউরিসেট ওরাল সলিউশন বিশেষভাবে কার্যকরী।
ইউরিসেট ওরাল সলিউশন সেবন বিধি
এখন আমরা জানাবো সেবন বিধি সম্পর্কে অর্থাৎ কিভাবে সেবন করতে হয় ইউরিসেট ওরাল সলিউশন পানির সাথে মিশিয়ে সেবন করতে হবে মূত্রনালীর সংক্রমণ এর ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৬ বছরের উপর শিশুদের ক্ষেত্রে এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে দিনে তিনবার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
শিশু ১ থেকে ৬ বছর সর্বোচ্চ ৫ মিলি আধা গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে দিনে তিনবার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
কিডনির পাথর প্রতিরোধে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ থেকে ১৫ মিলি করে এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে দিনে চারবার শিশু ৫ থেকে ১০ মিলি অর্ধেক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে দিনে চারবার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
এখন জানাবো বাতের ব্যাথা নিয়ন্ত্রণে কিভাবে সেবন করতে হয় প্রাপ্তবয়স্ক ১০ থেকে ১৫ মিলি ১ গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে দিনে চারবার শিশু 5 থেকে ১৫ মিলি অর্ধেক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে দিনে চারবার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
Uriset syrup এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
এখন আমি বলব তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্ক ইউরিসেট ওরাল সলিউশন নির্ধারিত মাএা সেবন করলে সাধারণত স্বাভাবিক কিডনির কার্যকারিতার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই সহনীয়। যখন এটি নির্দিষ্ট মাত্রা সেবন করা হয়। অর্থাৎ যখন আমরা একটি নির্ধারিত মাত্রায় সেবন করব তখন সেটি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না।
সাবধানতা অতিরিক্ত ডোজের কারনে হাইপারক্যালেমিয়া দেখা যেতে পারে। নির্ধারিত ড্রেসের চাইতে বেশি সেবন করা যাবে না। ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দেওয়া মাত্রই ঔষুধ টি ব্যাবহার পরিহার করতে হবে রোগীদের মুত্র নির্গমনের হার স্বাভাবিকের তুলনায় কম সে ক্ষেত্রে সাবধানতার সাথে সেবন করতে হবে।
অধিক ঘনত্বের পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ওষুধের উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম থাকায় পাকস্থলীর ক্ষত প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি গ্রহণ করতে হবে পাশাপাশি প্রতিটি ডোজ খাবারের পরে গ্রহণ করলে স্যালাইন লেকসিটি ইফেক্টের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকা যায়।
গর্ভবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে ব্যবহার করা যাবে কিনা সেটি সম্পর্কে বলবো গর্ভবস্থায় ইউরিসেট ওরাল সলিউশন ব্যবহার করা উচিত নয়
তবে ভ্রূণের ক্ষতির তুলনায় সুস্থতার অধিক নিশ্চয়তা পাওয়া গেলে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ওষুধটি মাতৃদুগ্ধের নিঃসরিত হয় কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয় তাই স্তন্যদানকালে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এটি ব্যবহার করতে হবে। ওষুধটি আলো দূরে শুষ্ক এবং ঠান্ডা স্থান সংরক্ষণ করতে হবে ওষুধ সব সময় শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে।
ওষুধ সেবন করার আগে অবশ্যই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে আর ইউরিসেট ওরাল সলিউশন সুগার ফ্রি,এটি লেমন ফ্লেবার খেতে খুবই সুস্বাদু এটি বাজারে এনেছে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড।
ইউরিসেট ওরাল সলিউশন সম্পর্কে এতক্ষণ আমি যা যা বললাম তার ব্যক্তিগত কোনো চিন্তা থেকে বলিনি ইউরিসেট ওরাল সলিউশন কিছু ট্রান্সলেশন এর ভিতর যে কাগজে লেভেল আছে সেখানেই রেফারেন্স গুলো দেওয়া আছে আপনারা চাইলে নিতে পারেন।
বিশেষ সতর্কতাঃ আমার পোষ্টে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে কেউ ঔষধ সেবন করবেন না। আমি এই পোষ্টে করেছি আপনাদেরকে এই ঔষধ সম্পর্কে বেসিক ধারণা দেওয়ার জন্য। আমার অথবা বর্ণনা প্রেসক্রিপশন এর বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। এর পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন কারণ চিকিৎসক রোগীর সকল দিক বিবেচনা করে ঔষধ নির্বাচন ও নির্ধারণ করে থাকেন।