এরিসকন সিরাপ, এরিসকন সিরাপ দাম, এরিসকন সিরাপ এর কাজ,Ariscon syrup
এরিসকন সিরাপ কাজ কী
এটি একটি ওরাল সাসপেনশন এবং এটি একটি চিনি মুক্ত গ্যাসের সিরাপ
এরিসকন সিরাপ দাম কত?
এরিসকন এটি বাজারের যে কেন ফার্মাসিস্ট দোকানে পেয়ে যাবেন এটির মূল্য ২৩০থেকে ২৫০ টাকা।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ও লক্ষণ
ফার্মাকোলজিঃ
এরিসকন সিস্টেমিক সার্কুলেশনের মাধ্যমে কাজ করে না, এরিসকন গ্রহণ করার পর এটি অতি দ্রুত পাকস্থলির এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে এলজিনিক এসিডের একটি জেল তৈরি করে, যার একটি নিরপেক্ষ pH থাকে এবং যা পাকস্থলির উপাদানের উপর ভেসে বেড়ায় এবং দ্রুত ও কার্যকর ভাবে ৪ ঘন্টা পর্যন্ত গ্যাস্ট্রো -ইসােফেজিয়াল রিফ্লাক্স প্রতিহত করে। গুরুতর ক্ষেত্রে এই জেলটি পাকস্থলির উপাদানের চেয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রিফ্লাক্স হয়ে ইসােফেগাসের অভ্যন্তরে। উপশমকারী প্রভাব বিস্তার করে।
নির্দেশনাঃ
গ্যাস্ট্রিক রিফ্লাক্স, বুক জ্বালা, বদহজম, গ্যাস্ট্রিক রিফ্লাক্স সমন্বিত ফ্লাটুলেন্স, গর্ভাবস্থায় বুক জ্বালা, এপিগ্যাস্ট্রিক পীড়াজনিত যেকোন গ্যাস্ট্রিক রিফ্লাক্স।
মাত্রা ও সেবনবিধিঃ
প্রাপ্তবয়স্ক ও ১২ বছরের অধিক শিশুদের ক্ষেত্রেঃ ১০-২০ মি.লি. করে দিনে সর্বোচ্চ ৪ বার, খাওয়ার পর এবং রাতে ঘুমানাের পূর্বে।
৬-১২ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রেঃ ৫-১০ মি.লি. করে দিনে সর্বোচ্চ ৪ বার, খাওয়ার পর। এবং রাতে ঘুমানাের পূর্বে।
৬ বছরের নিচে শিশুদের ক্ষেত্রে ও নির্দেশিত নয়। বয়স্কদের ক্ষেত্রেঃ এদের জন্য কোন মাত্রা পরিবর্তনের প্রয়ােজন নেই।
প্রতি নির্দেশনাঃ
এরিসকন এর যেকোন কার্যকরী উপাদান অথবা কোন এক্সিপিয়েন্ট এর প্রতি অতিসংবেদনশীল রােগীদের ক্ষেত্রে এটি প্রতি নির্দেশিত।
সাবধানতা ও সতর্কতাঃ
যদি ৭ দিনের মধ্যে উপসর্গের উন্নতি না হয়, তাহলে রােগীর রােগশয্যা পর্যালােচনা করতে হবে। প্রতি ১০ মিলি, মাত্রায় সােডিয়াম আছে ১৪২ ৬ মি.গ্রা. (৬.২ মি.মােল)। যখন লবণাক্ত খাদ্যের অত্যন্ত নিয়ন্ত্রণ সুপারিশ করা হয় তখন। এটি বিবেচনায় নিতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, কনজেসটিভ কার্ডিয়াক ফেইলিউর ও রেনাল ইমপেয়ারমেন্ট এর ক্ষেত্রে প্রতি ১০ মি.লি, মাত্রায় ক্যালসিয়াম কার্বনেট আছে। ১৬০ মি.গ্রা. (১.৬ মি.মােল)। সুতরাং হাইপারক্যালসেমিয়া, নেফ্রোক্যালসিনােসিস এবং রিকারেন্ট ক্যালসিয়াম সংক্রান্ত রেনাল ক্যালকলি রােগীদের চিকিৎসায় ফেলে সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে।
পাশ্ব প্রতিক্রিয়াঃ
ওষধের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল প্রাপ্তির সাথে কি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও প্রদর্শিত হতে পারে। যেমনঃ কোষ্ঠকাঠিন্য, ফ্লাটুলেন্স, পাকস্থলির খিচনি অথবা ঢেঁকুর তোলা। যদি অতিবেশী মাত্রায় গ্রহণ করা হয়ে থাকে তবে স্ফীত পাকস্থলি সংবেদিত হতে পারে। এসকল ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহারঃ
গর্ভাবস্থায়ঃ ৫০০ এর অধিক গর্ভবতী মহিলার ক্লিনিক্যাল গবেষণা এবং বিপণন পরবর্তী প্রচুর তথ্য উপাত্তের অভিজ্ঞতা নির্দেশ করে যে এই ওষুধ এর কার্যকরী উপাদানের ত্রুটি অথবা ভ্রন/নবজাতক সম্পর্কিত বিষক্রিয়া নেই। সুতরাং চিকিৎসায় প্রয়ােজন পড়লে গর্ভাবস্থায় এই ওষুধটি ব্যবহার করা যাবে।
স্তন্যদানকালেঃ
চিকিৎসা গ্রহণকারী মায়েদের বুকের দুধ গ্রহণকৃত নবজাতকদের ক্ষেত্রে এরিসকন এর কার্যকরী উপাদানের কোন প্রতিক্রিয়া নেই। বুকের দুধ প্রদানকালে মায়েরা এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারবে।
ফারটিলিটিঃ
চিকিৎসাপূর্ব গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে বংশবৃদ্ধির উপর এর কোন নেতিবাচক প্রভাব নেই।
অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়াঃ
এই ওষুধ ও অন্য ওষুধ গ্রহণের মাঝে ২ ঘন্টা ব্যবধান বিবেচনা করতে হবে। বিশেষ করে টেট্রাসাইক্লিন, ডিগােক্সিন, ফ্লরােকুইনােলােন, আয়রন সল্ট, কিটোকোনাজোল, নিউরােল্যাপ্টিক, থাইরয়েড হরমােন, পেনিসিলামাইন, বিটা ব্লকার (এটিনােলল, মেটোপ্রােলল, প্রপ্রানােলল), গ্লুকোকরটিকয়েড, ক্লোরােকুইন এবং বাইফসফোনেটস (ডাইফসফোনেটস) এবং এস্ট্রামাসটিন।
মাএাতিরিক্ততাঃ
অপরিমিত মাত্রা গ্রহণের ক্ষেত্রে ঔপসর্গিক চিকিৎসা দিতে হবে।
সংরক্ষণঃ
৩০° সে, তাপমাত্রার নিচে, শুষ্ক স্থানে ও আলাে থেকে দূরে রাখুন। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
এই ওষুধ ফ্রিজে রাখা যাবে না।
বিশেষ সতর্কতাঃ আমার পোষ্টে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে কেউ ঔষধ সেবন করবেন না। আমি এই পোষ্টে করেছি আপনাদেরকে এই ঔষধ সম্পর্কে বেসিক ধারণা দেওয়ার জন্য। আমার অথবা বর্ণনা প্রেসক্রিপশন এর বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। এর পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন কারণ চিকিৎসক রোগীর সকল দিক বিবেচনা করে ঔষধ নির্বাচন ও নির্ধারণ করে থাকেন।